Header Ads

চোখের জলে ক্রিকেটকে বিদায় বললেন গুল

 


খেলোয়াড় হিসেবে সব ধরনের ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত ফাস্ট বোলার উমর গুল। পাকিস্তানে চলমান ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে বালুচিস্তানের শেষ ম্যাচ খেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানেন তিনি।

নিজের শেষ ম্যাচে অবশ্য বল হাতে আলো ছড়াতে পারেননি একসময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আলো ছড়ানো গুল। সাউদার্ন পাঞ্জাব পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ ওভার বল করে খরচ করেন ৩৪ রান। তার দলও ৭ উইকেটে হেরে যায়। তবে ম্যাচ শেষে সতীর্থদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর সম্মানের চাদরে সিক্ত হয়েছেন গুল। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে মাঠেই একাধিকবার কেঁদে ফেলেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও গুলের চোখে ছিল অশ্রু।

পাকিস্তানের হয়ে ৪৭টি টেস্ট, ১৩০টি ওয়ানডে ও ৬০টি টি-টোয়েন্টি খেলা গুল তার সময়ে নিজ দলের তো বটেই, বিশ্বেরই অন্যতম সেরা পেসার ছিলেন। পাকিস্তানের বেশ কিছু রেকর্ড আছে তার দখলে। বেশি দ্যুতি ছড়িয়েছেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। পাকিস্তানের পক্ষে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি উইকেট শিকার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছেন তিনি। তার শীর্ষে যিনি তিনিও পেসার নন (শহীদ আফ্রিদি)।

মহামারীর পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে চলা পাকিস্তানের ক্রিকেট আয়োজন করেছে ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ। খেলোয়াড় হিসেবে এটাই ছিল গুলের শেষ মঞ্চ। এই আসর খেলেই নিজেকে পাঠালেন ‘সাবেক’ খেলোয়াড়ের কাতারে। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে কোচিংয়ে নাম লেখানোর পরিকল্পনা তার।

৩৬ বছর বয়সী এই পেসার ২০০৯ সালে পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন। জনপ্রিয়তার কারণে খেলোয়াড়ি জীবনেই তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পুনর্গঠনের জন্য ক্রিকেটারদের নিয়ে গঠিত কমিটিতে স্থান পান। গুল তখনো বর্তমান ক্রিকেটার বলে এ নিয়ে অবশ্য কিছুটা বিতর্কও ছড়িয়েছিল। তবে অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তিনিও কমিটির বাকিদের মত ‘সাবেক’ তকমাধারী হয়ে গেলেন।

No comments

Theme images by Petrovich9. Powered by Blogger.