ক্লাস না করে্ও দশ মাসের বেতন নিচ্ছে :::সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে বাংলাদেশের বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুলের অভিভাবক স্কুলের বেতন অর্ধেকে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল পরিচালনার কথা বলে পুরো ফি আদায়ে অটল অবস্থানে রয়েছে।
ঠিক একই পথে হাটছে সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয়
করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের অনেক স্কুল অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। তবে সংখ্যায় তা বেশি নয়। যেসব স্কুল অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে, তারা পুরো বেতন নিচ্ছে। আর যারা ক্লাস নিচ্ছে না তারাও পুরো বেতন বা ৬০/৭০ শতাংশ বেতন নিচ্ছে।তাহলে সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ কোনো ক্লাস না করিয়ে কোন যুক্তিতে দশ মাসের বেতন দাবি করছে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন ক্লাস না করিয়ে এভাবে পুরো বেতন নেয়া অযৌক্তিক ও অনৈতিক।
কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে ভবন ভাড়া, বিশেষ করে শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন চালিয়ে নেয়ার কারণে তাদের পক্ষে বেতন কমানো সম্ভব হচ্ছে না।কিন্তু সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন ভাড়ার প্রয়োজন হয়না।এই বিদ্যালয়ের তিন জন শিক্ষক ব্যতিত সকল শিক্ষক এমপিওভুক্ত।তারা সরকার থেকেই ভাতা পাচ্ছে। তার পর ও কেন দশ মাসের বেতন চাচ্ছে-কতৃপক্ষ।
রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত আইডিয়ালে স্কুল অ্যান্ড কলেজে করোনার বন্ধের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি গত জুলাই থেকে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের শিক্ষা ফি চেয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম বলেন,প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারী আছেন প্রায় ৮০০ জন। এর মধ্যে ১১৬ জন এমপিওভুক্ত, যাঁরা সরকার থেকে মাসে মূল বেতন পান। বাকিদের বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া হয়।
তারা যদি ৬৮৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠান থেকে দিতে পারে।তাহলে আমাদের তিন জন শিক্ষককে বেতন দেওয়ার মত ফান্ড কি বিদ্যালয়ে নেই।
এদিকে এই বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষাথীদের মধ্যে বেশীর ভাগ শিক্ষাথীদের অভিভাবক কৃষক ও মধ্যবিত্ত পরিবারের।এই করোনাকালে তাদের সকলের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব শোচনীয়।তাই সকলের পক্ষে দশ মাসের বেতন দিয়ে পরিক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না।অনেক শিক্ষাথীর সাথে কথা হয়েছে,তারা বলেছে ,যদি পুরো টাকা দিয়ে পরিক্ষা দিতে হয় তাহলে তারা পরিক্ষা দিবে না।
এখন এই ফি নিয়ে শিক্ষক অভিভাবকের মধ্যে উভয়সংকট দেখা দিচ্ছে।এই সংকট নিরসনের জন্য উভয়পক্ষকে সমযোতায় আসতে হবে।
No comments