শফির মৃত্যু ও হেফাজতের ভবিষ্যৎ
২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম গঠিত হলেও এটি তেমন কোন পরিচিত সংগঠন ছিলনা।
হেফাজতে ইসলামের নির্বাহী কমিটির মুফতি সাখাওয়াত হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, এটি ছিল মূলত চট্টগ্রাম-কেন্দ্রিক একটি আঞ্চলিক সংগঠন।
ব্লগারদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে কেন্দ্র হেফাজতে ইসলামের তৎপরতা বাড়ে।
এই সংগঠনের সাথে এমন অনেকেই জড়িত আছেন যারা বিভিন্ন ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু আমীর আহমদ শফীর কোন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বা পরিচয় ছিলনা।
অনেকে মনে করেন এ কারণে আহমদ শফীর বাড়তি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছিল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার মনে করেন, আহমদ শফীর মৃত্যুর পরেও হেফাজতে ইসলাম তেমন কোন সংকটে পড়বে। এক্ষেত্রে তারা কতটা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারে সেটি জরুরী বিষয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক আখতার বলেন, " আহমদ শফী সাহেবের থাকা না থাকা এখানে বড় বিষয় নয়। বয়সগত কারণে গত কয়েকবছর ধরে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আহমদ শফী সক্রিয় ছিলেন না বলেই মনে হয়েছে।"
"হেফাজতে ইসলাম দুর্বল হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তাদের গুরুত্ব সবসময় থাকবে। তবে সেটা ভাগ হবে নাকি ঐক্যবদ্ধ থাকবে - সেটাই হচ্ছে মূল প্রশ্ন।"
No comments